Tuesday, 31 March 2020

COVID-19

কাল থেকে মনে হচ্ছে আবার কিছু লিখি। আমার যে লিখা লিখি ভালো লাগে, কিন্তু এই লিখাগুলো যে খুশির লিখা না। মনের কোনে ছোট করে কোথাও একটা আতঙ্ক যা প্রতি নিয়তো তারা করে বেড়াচ্ছে। পরশু বাড়িওয়ালা একটা মেসেজ পাঠিয়েছে।
আজ বুধবার 
মধ্যেরাত ১:১৩

COVID-19 (Notice for Venice Hill residents)

সারমর্ম তো নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছেন। আমাদের venice hill condominium-এর tower -3 কেউ COVID-19- এ আকক্রান্ত।জানি না কি হবে , কেমন যাবে সামনের দিনগুলি।খুব ভয় লাগছে সাথে কষ্টও।

এই venice hill condominium-এ আমি থাকি। আমি আমার husband, আমার ভাই এন্ড জুনায়েদ আছি। venice hill condominium- টায় ১০ টা টাওয়ার, এর tower-1 -এ আমি থাকি।

জানি সামনে অনেক বড় কোনো বিপদ অপেক্ষা করছে, শুধু মনে মনে চাই শক্ত হাতে যেন তা মোকাবিলা করতে পারি। আর আল্লাহ কে বলি আল্লাহ যেন সবাইকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে। 

তাই হঠাৎ করে মনে হইলো ডাইরি তাতে হাত বুলাই না অনেক দিন , সাথে কলম তাকেই ও সঙ্গী বানাই না অনেক দিন হলো। পরে ভাবলাম ডিজিটালের এই যুগে কলম ডেইরি ডিজিটালে নয় কেন। 

বেশ কতদিন ধরে news আসতেছে USA কন্ট্রোল করতে পারছে না , ওরা ধরে নিছে মিনিমাম ২,০০,০০০ মানুষের মৃত্যু হবে। এ যেন মৃত্যুর মিছিল। আমরা যুদ্ধ দেখিনি , দেখিনি দুর্বিক্ষ , দেখিনি মহামারী। আজ দিনশেষে বুঝি কতটা না রাজকপালী ছিলাম আমরা। এখন facebook-এ মানুষ জন কে অনেক কিছু করে নিজে কে জয় করার প্রবণতা দেখছি, দেখছি বসে বসে ভয় কাটানোর কত বিচিত্র উপায় , নিজেও অনেক সময় ভাবী নিজেও কি কিছু করবো যাতে আমি ও একটু entertain হই সাথে মানুষগুলোও।

আজ মেজোমামার সাথে কথা হলো, বৌমার সাথেও কথা বললাম সবার মাঝেই একটা আতঙ্ক। বৌমা অনেক নরম একজন মানুষ, কথা বলে খারাপই লাগলো।আজ আবারও বুঝলাম মৃত্যুর আতঙ্ক ছোঁয়াচে।সুদূর আমেরিকা থেকেও ছুতে দুই সেকেন্ড ও লাগলো না। খালামনির সাথেও কথা হলো, সবাই একটা কালো ছায়ায় আবৃত। সকালে যখন বাবা মা -র সাথেও কথা হলো তারাও ভেঙে পড়েছে। শুধু দেখেলাম আমার ভাঙা চূড়া আম্মু কে, শক্ত হয়ে আমাকে সাহস দিতে।  

Monday, 25 March 2019

আমার ছোট মামা

বৃহস্পতিবার
২১শে March ২০১৯
রাত ১২:০৫
সামসুর রহমান, আমার ছোট মামা, আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মানুষ। আমার লিখার জগতে সবসময় আমার জীবনে ঘটে যাওয়া স্মরনীয় মুহূতগুলোক ধরে রাখার ছোট ছোট প্রয়াস থাকে। 

সেই মুহূতগুলোকে স্মতিময় আর মুধুময় করে তোলার ক্ষেত্রে কিছু মানুষেরও অবদান থাকে, যা অনিবার্য, তাদের কথা না বললেই নয়।

২৯শে জানুয়ারী ২০১৯। আমি বাংলাদেশ আসি । আমার ছোট মামা বিগত ২০ বছর পর বাংলাদেশে আসছেন। মামী, সাদিদ(আমার ছোট মামার একমাত্র ছেলে) আর ছোট মামা।
আমার বাংলাদেশ আসা ছিল কাকতলীয়। এরমধ্যেই আমার বড় মামা আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন।
সব মিলাই মন দিল অন্যরকম ছিল। রাত ২:৩০মিনিট এসে পৌঁছালাম বাংলাদেশ।  
দুই বাসার কোন বাসাই জানে না যে আমি আসবো। এয়ারপোর্ট থেকে উবার নিলাম। উবারে করেই বনশ্রী বাসার উদ্দেশে রওনা দিলাম, আব্বুকে একটা কল দিয়ে বললাম গেইটা খুলো।
পৌঁছানোর পর আব্বু বলে মামাদের (মামাদের বললাম কারন আমার মেজো মামাও আামাদের বাসায়) ডাকি, আমি বলি আহ্ ঘুমোক না, সকালেই কথা হবে।
সকাল হলো মামা শোনার পর প্রথম কথা বলল, " রাত কয়টায় রে মিতু," আমি হাসি, "আর বলি রাত তিনটায় মামা"। 
মামার উত্তর,  " করছ কী তুই, ওই মিতু তুই করস কি",- এই যে শুরু হল মামার সাথে আমার দেড় মাসের যাত্রা। আমি তখন ও জানি না যাত্রাটা এত সুন্দর আর মধুর হবে।
এখন আমি আমার ছোট মামার ছোট একটা পরিচয় দি, আমার মামা যেমন অমায়িক,  তেমন সুমিষ্টভাষী, তেমন নামাজী, তেমন punctual ( কারন কোথাও যাওয়ার কথা থাকলে সবার আগে, হা:হা:হা: ২ ঘন্টা আগে রেডি হয়ে আমাদের ডাইনিং রুমের চেয়ারে এসে বসে থাকে। আর আমরা সবাই পিংপং বলের মত দৌড়াদৌড়ি করছি, বিশেষ করে আমার ডিস্কো DaD).
মামা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরবে বাসার সবাইকে একসাথে করে, মামা আম্মু মিলে আমাকে বকা দেয়, মামা বলে "মিতু তোর সবই ভালো, শুধু নামাজটা পড়িস না"। ভিতরটা ফেটে যেত তখন, আগের মিতু হলে সঙ্গে সঙ্গে নামাজে দাঁড়াতাম, কিন্তু আল্লাহর সাথে যে আমার অনেক অভিমান, বসলে যে অভিমানের ফুলঝুরি নিয়ে বসবো। সে যে অনেক কথা বলার আছে, অনেক অভিমান,  অনেক অভিযোগ,  অনেক কান্না জমে আছে, যাইহোক যে কথা বলার জন্য এত কথা- মামা আমি এখন নামাজটা ধরার চেষ্টা করছি, পাঁচ ওয়াক্তই পড়া হয়না, কিন্তু আমি দুই ওয়াক্তও হলেও পড়ছি।
আমার ছোট মামাই যে শুধু এমন তা না, আমার সবগুলো মামাই এমন, ব্যবহার কথাবাতা সবকিছুতেই তাদের অনেক অনেক মিল। কিন্তু শুধু এই ছোট মামাই কেন। কারন মামার আদর ভালবাসা অন্যরকম, সবার থেকে আলাদা, হয়তো তার প্রকাশটা অন্য সবার থেকে আলাদা, হয়তো মামার, বাবার মত স্নেহ আমার মনকে ছুঁয়ে গেছে, যা এখনো কাঁদিয়ে বেরাচ্ছে এবং আজীবন মনে থাকবে।
শুধু যে আমার জন্য এই স্নেহ তা না, সবার জন্য তার কী মায়া, মহব্বত, হোক সে বিশাল কোটিপতি আর হোক সেই গরীব, সবাইকে বুকে টেনে বটবৃক্ষের মত আগলায় রাখতে চাচ্ছে,  কী অমায়িক, মাটির মানুষ, যাই বলি মনে হচ্ছে কম বলা হচ্ছে বা আমি সঠিক ভাষা পাচ্ছি না মামাকে বিশ্লেষণ করার। আসলে মামাকে সামনে থেকে কেউ না দেখলে, না মিশলে বুঝবেনা। 
মামা এমন একজন মানুষ যাকে দেখলাম সবাইকে একসাথে করার কি আপ্রাণ চেষ্টা। মানুষটা এখন সামনে নাই, আমি বসুন্ধরায় আর মামা কিনা সেই হাজার হাজার পাড়ি দিয়ে সেই সূদুর কানাডায়। হয়তোবা মামা নিজেও জানে না, মামার চাল-চলন, ভঙিমা মামার কোন এক ভাগ্নিকে গভীর ভাবে নাড়া দিয়ে গেছে, হয়তো কখনো পড়বে (লিখায় কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকলে মামা আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত)। আজ অনেক গব করে সবার মাঝে বলতে ইচ্ছা করছে, "আমার মামা, আমার ছোট মামা"। 
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমাকে আমার কথার যন্ত্রণায় ডাকত "বুড়ি"। 
ছোটবেলা হায়রে ছোটবেলা, অনেক ভাইবোন সবাই মিলে কাটত যেইবেলা, আজ সব স্মতির পাতায়। অনেক যত্ন করে রাখতাম সেই সম্পর্কগুলো। ছোট ছোট ভাইবোনগুলো অনেক অনেক আদরের ছিলো। আসলে দোষ ওদের না দোষ আমারই, মেশিনও সচল রাখার জন্য চালু রাখতে হয়, তেল দিতে হয়, সাভিসিং করাতে হয়, আর এতো মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক। নতুন ঘরে এসেছি, নতুন সবকি,  এই সবকিছুর সাথে তাল মিলাতে মিলাতে,  নতুন একগুচ্ছ ভাইবোনকে আপন করে নিতে নিতে পিছে ফেলে এসেছি পুরানোদের।  জায়গাটা বড় নড়বড়ে করে ফেলেছি। এই সময় এসে, হিসাব মিলাতে গিয়ে দেখি প্রবাদ বাক্যের প্রতিটা ছন্দ জীবন থেকে নেয়া।
তাই আজ হিসাব মিলাতে গিয়েও মিলালাম না, প্রবাদেই ছেড়ে দিলাম- "যা ছেড়ে এসেছি তা ছেড়ে এসেছি, যা চলে গেছে তো গেছে, পিছনে শুধু ধু ধু মরূঊদ্যান আর সামনে সে তো আমার বতমান। 
জীবনটা আসলে স্কুল, আর আমরা হলাম ছাত্র। মামা অনেক কিছু শিখায় গেল, অনেক কিছু হাতে ধরে দেখায় দিয়ে গেলো। একজন দেশ পাগল মানুষ, আমি এমন মানুষ আমার চোখে খুব কম দেখছি। 
একটা মানুষ এত অল্পতে কেমনে খুশি হয়, আনন্দ পাইতে পারে আমার মামাকে দেখে শিখা, মামাকে যে মনে করেই দিছে মামা এতেই খুশি, ভিতরে কি হাতি নাকি ঘোড়া নাকি সুচ, তা দেখার বিষয় না, মাশাল্লাহ। 
নানুকে অনেক অনেক মিস করলো, আজ নানু থাকলে হয়তো সবকিছু অন্যরকম থাকত।
আমার মামাটা যেমন ইমোশনাল তেমন আবার রাগও আছে। দুইটাই আমার সাথে যায়, সেই মিল 😋😋। আমিও ইমোশোনালের ডিব্বা। অনেক অনেক কিছু লিখার আছে, অনেক কিছু বলার আছে, যেন বলে শেষ করা যাবে না, আমার ছোট মামার কথা।      
ঠিক যেন বটবৃক্ষের এক শীতল ছায়া, আমাদের মনে হলো আমাদের অনেক প্রিয় একটা মানুষ আমাদের কাছ থেকে গেল, মানুষকে আপন করার কি সুনিপুণ যোগ্যতা। মনে প্রানে মামার জন্য দোয়া রইল, যেন আমার মামা সুস্হ এবং সবল থাকে।
আর মামা আপনিও আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন আপনার দেখানো পথে চলতে পারি।

বিঃদ্রঃ : কোথাও কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে নিজ গুনে মাফ করবেন।    
           
    

     

        




Monday, 2 July 2018

চড়ু্ইভাতি

শুক্রবার
২৯/জুলাই/২০১৮
চৌধুরী'স মেলা।
সবাই আবার ভেবে বইসো না যে আমার সাইডের কারন আমিও চৌধুরী বংশগত😜 । এ মিলন মেলা আমার শশুড়বাড়ীর।
আমরা

শাহেদ ভাইয়া এবং নদী ভাবি

রাজিন ভাইয়া এবং রত্না ভাবি

রছি ভাইয়া এবং রিনা ভাবি

সে আর আমি
প্রথমে ধন্যবাদ মা আর বাবা কে।।। আমি দেখেছি তাদের আগ্রহ আর পরিশ্রম । এরপর সব ভাইদের যারা বন্ধের দিনের সকালের আরামের ঘুম বাদ 😜 দিয়ে আমাদের পাগলামীকে সাধুবাদ জানাইছেন। আর সব ভাবীদের কথা কী বলবো, কোনো কিছুরই কমতি ছিলনা, আজ ভাবীদের জন্যই সম্ভব হইল এই মিলনমেলার। সবার আগ্রহ সমান ছিল, আমি জানি শশা(আমার ননদীনি -শশী) কী কষ্ট করে আসছে। সবাই আবার ভেবে বইসো না কষ্ট করে আসছে মানে, কই থেকে আসলো, ও Dhaka University-তে পরে, আসা যাওয়া কষ্ট দেখে ধানমন্ডির একটা হোষ্টেল থাকে।

আমার খুব মানুষ নিয়ে হৈচৈ পছন্দ। পিকনিক, মিলনমেলা, হলুদসণ্ধ্যা- এই সব আয়োজন তাই আমাকে টানে।
টুককী

খিচুড়ি

সালাদ


বাবা

শাহেদ ভাই কাজ করে ক্লান্ত

রাজিন ভাইয়া গভীর মনোযোগী

ব্যস্ত সবাই

খিচুড়ি আর হাসের ডিম

আগুন নিভানোর প্রচেষ্টা


আগেও লাফাইতাম এখনও লাফাই। এখন বললাম কারন এখন আমি বিবাহিত নারী😘।
কে বলে ঢাকার আকাশ সুন্দর না

ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ঘুরো

তুমি যেখানেই উড়ে বেড়াও নাটাই তো আমার হাতে

ছুটে চলি দূর বহুদূর

মিছেই সব জল্পনা কল্পনা

চাঁদ আর হুহু বাতাস


আমার মামা শশুড়ের দিকে আমিই বড়। আর চাচা শশুড়ের দিকে একরকম ছোটই বলা চলে, কারণ আমার একটা ছোট দেবর আছে যে কিনা অনেক ছোট আমার বরের থেকে, তাই অনেক বছর ছোট হওয়ার আদর খাব❤️,
একটা দিনের কাটানো সময় যে এমন হবে তা বুঝিনি।
 সব বড় হয়ে গেলরে

সবাই

আমরা ☺

রোদ কেনরে

আমরা এমনি তেই সুন্দর

বিশ্বাস করো আমরা মুখে কিচ্ছু মাখিনি

আমরা দ্বীপে উঠেছিলাম
দিনটির রেশ এখনও যেন বয়ে বেড়াচ্ছি, ফুলের সুভাষের মত। It's feel good. আসলে স্মৃতির ভান্ডার বাড়ানোর জন্য কোটি টাকা লাগে না। হঠাৎ করেই প্লান, হঠাৎ করেই শুরু । আমার আম্মু সবসময়ই বলতো," মিতু তো নাচুনে বুড়ী, ওর শুধু ঢোলের বারি হলেই হলো" । ওমা আমারে যে ঢোলের মাদলে নাচানোর মানুষ এইখানেই পাব তা তো বুঝিনি😍 ।
আমরা ছবি তুলি

আমরা গুটি কয়েক

আমি একজনের চাহুনিতে মুগ্ধ

আমি আদর খাই

আমরা চারজন

এইনা হইলো partner. এই G2G-তে যারা যারা উপস্হিত ছিল সবার অবদান অনিবার্য । সবাইকে বলি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে মাফন করে দিও।
রঙে ঢঙে মোরা

আর কিছু নাই বা বলিলাম

 কাল যখন সবাই মিলে আমাকে ডাকছিল আর আমি ছুটোছুটি করছিলাম তখন আমার আসলেই বউ বউ লাগছিল। ভাবীরা আমাকে আদর দিয়ে দিয়ে মাথায় রেখ না মাঝে মাঝে এইরকম ছুটোছুটিতে রাখবা।।

সবাই মিলে যখন রান্না চড়ানো হচ্ছিল তখন বাবা বলছিল তোদের এখনই এই অবস্হা হচ্ছে, আমার মা প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনের রান্না চড়াতেন।

ক্ষণিকের জন্য সবাই চলে গিয়েছিলাম দাদুর সেই রান্নাঘরে। আমার চোখে ভেসে উঠল বাবাদের সেই বাড়ি(যদিও আমার এখনও যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে নি)-সব জ্যাঠুরা- চাচীম্মারা -সব ভাইবোন- সেই হৈ হুল্লুড়। ইন্শাল্লাহ আমরাও করব। দূরে থাকি তো কী হয়েছে। 😍

প্লানটা কিন্তু হুট করেই করা । facebook -এর কিছু ছবির comments -থেকে এর উৎপত্তি। আমি এক comments -এ লিখি চল ভাবীরা চড়ু্ইভাতি করি, যেই বলা সেই কাজ। ভাবীরা বলল চল করি, এই উপলক্ষে চড়ুইভাতি গ্রুপ ও খোলা হইল। সেইখানে চললো আমাদের সেই প্লান। বিকালের নাস্তায় কী হবে, খাবার কী হবে। ঠিক হল সব, বিকালের জন্য একেকজন একেক item- আনবে। মা আমাদের আলুর চপ বানায় দিল। program- দুপুর না রাত তা নিয়েও ভাল চিন্তিত ছিলাম সবাই because of- আবহাওয়া। অবশেষে ঠিক হল দুপুরে। আর যায় কই, আমার তো মনে হচ্ছিল কবে শুক্রবার হবে। বাজার হল, মা আর আমি গেলাম বাজারে, শাহেদ ভাইয়া আমাকে বাজারের লিস্ট করতে সাহায্য করলো। all done- এরপর শুধু অপেক্ষার পালা। অবশেষে এল শুক্রবার, আমরা ভাবিরা সকাল থেকে এক জন আরেকজনকে  আপডেট দিচ্ছি, কে কী করছে। সেই হুলুস্হুল কান্ড, নদী ভাবি পাটিসাপটা পিঠা বানাচ্ছে, রত্না ভাবি ছানার পুডিং, আর আমি নুডুলস। রিনা ভাবিকে- call- দিলাম বলল মিতু আমি আমার দুইটারে নিয়া দৌড়াচ্ছিরে। আমি বললাম okay- দৌড়াইতে দৌড়াইতে আসো, আমাদের বাসাটা একটু ভিতরে এখনও ব্যস্ত মুখর জন জীবনের ছাপ পড়েনি, এই কথা বলছি কারণ তখনও কোক স্প্রাইট আনিনি, কাওকে পাঠাব ভাবছি দেখি রছি ভাইয়া কোক স্প্রাইট নিয়ে হাজির।। our life saver.. রূমি ভাবিকে কল দিলাম বলল ইচ্ছা আছে কিন্তু আগে থেকেই office- এর একটা প্রোগ্রাম আছে, যদি পারি আসব এবং ভাবি কাজ শেষ করে আসছে।কী যে ভাল লাগল।
 ছোটবেলায় ফিরে যাই

সূর্যাস্ত

বুড়ো

আমাদের বড় ভাবি

আমরা

ভাবি রা

সূর্যাস্ত উপভোগ

বাবা যখন মধ্যমনি

চৌধুরীর এক-তৃতীয়াংশ

যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়
যাদের পাইনি সবাইকে আদর ভালবাসা , অনেক অনেক মিস করছি কাছে দূরে সবাাইকে।

সব ভাবিরা একে একে চলে আসল, পুরা বাড়িটা কিছুক্ষণের মধ্যে পরিপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশে পরিণত হল।

 আমাদের চড়ুইভাতির কিছু আনন্দ ঘন মুহূর্ত ।







Friday, 8 April 2016

বরিশাল- পিরোজপুরের নদী,ফ্লোটিং মার্কেট বা ভাসমান বাজার

যারা থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেট নিয়ে আগ্রহ দেখান, যারা কেরালার ব্যাকওয়াটার এর ছবি নিয়ে হা পিত্যেস করেন তারা দেখে আসুন বরিশাল আর পিরোজপুরের জলের এক স্বর্গ রাজ্য। গ্যারান্টি দিচ্ছি ভুলে যাবেন জীবনের সব আক্ষেপ, গর্ব ভরে যাবে বুক দেশে এমন সুন্দর একটি জায়গা আছে বলে। ট্রিপ টু বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিমাসে ৫-৬ টি ট্যুর পরিচালনা করছে এ জলরাজ্যে বিদেশি ট্রাভেলারদের জন্য। এ ট্যুর করে তাদের অনেকেই বলেছেন জীবনের শ্রেষ্ঠতম একটি ট্যুর করেছেন তারা। 
বলছিলাম বরিশাল- পিরোজপুরের নদী আর গ্রামের ভেতর বয়ে যাওয়া খালগুলোর কথা। ধান- নদী- খাল এই তিনে বরিশাল- একথাতো অনেকেই জানে। কিন্তু অনেকেই জানিনা এ নদী-খালের মধ্যে কি অপরিসীম স্বর্গীয় সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। বরিশালে প্রতি এলাকায়ই একটি নদী নিদেন পক্ষে একটি খাল রয়েছে। ভরা বর্ষায়তো বটেই, শীতকালেও এসব খালে পানি প্রবাহ থাকে। তাই বছর ভর ঘুরে বেড়ানো যায় শান্ত স্নিগ্ধ এ এলাকায়। ছোট খালের দুপাশে কোথাও ফসলের মাঠ, কোথাও পতিত ভুমি কোথাও বা বসতবাড়ি- সব কিছুই ছবির মতো মনে হবে আপনার কাছে। কিচুক্ষন পর পর আছে গ্রামীন ছোট বাজার। আর সে বাজারের আছে টাটকা সব শাক সবজি। দুপুরে খেতে চাইলে আছে তারও ব্যবস্থা। 
সবচে আকর্ষনীয় যে জিনিষটি আপনার মন কেড়ে নেবে তা হল
ফ্লোটিং মার্কেট বা ভাসমান বাজার। পানিপ্রধান অঞ্চল বলে স্বভাবতই এখানকার জীবনযাত্রায় নৌকার ভুবিকা প্রবল। কতোটা প্রবল তা এখানে না এলে বোঝা যাবেনা। এ এলাকার অধিবাসীদের ব্যবসা বাণিজ্যের বেশ বড় অংশ চলে জলে বসে। আর এ কারনেই বরিশাল আর পিরোজপুরে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো ভাসমান বাজার। বরিশালের বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার বসে বিশাল ধান আর চালের ভাসমান বাজার। খুব সকাল থেকেই কয়েকশ নৌকায় করে কারবারি এবং গৃহস্থরা ধান চাল নিয়ে আসে বিক্রির জন্য। অনেকে আসেন খালি নৌকা নিয়ে চাল কিনতে। পুরো প্রক্রিয়াটাই চলে নদীতে বসে।
ধানের বাজার ছাড়াও আছে ভাসমান সবজি বাজার। বানারীপাড়া, নাজির পুর এর বৈঠাকাঠি, উজিরপুর এর হারতা, মাহমুদকাঠি সহ বেশ কটি জায়গায় আছে এ সবজি বাজার। এখানেও স্থানীয় মানুষজন তাদের শাক সবজি নৌকায় করে নিয়ে এসে নৌকায় করেই বিক্রি করে থাকেন। সকাল থেকেই জমে ওঠে এ বাজার। স্থানীভাবে উৎপাদিত লাল শাক, পালং শাক, পুই শাক, কলা, চিচিংগা, বরবটি, শশা, টমেটো, মুলা ইত্যাদি নানান সবজি দিয়ে ভরপুর থাকে এসব নৌকায়। অসাধারন ফটোজেনিক জায়গা এটি্ বলা যায় ফটোগ্রাফারদের স্বর্গরাজ্য। শান্ত জলের মাঝে সবজি বোঝাই নৌকাগুলোতে বেচা কেনা চলে হরদম। 
আর আপনি যদি যান জুলাই থেকে অক্টোবরের এর মাঝে তবে দেখা পাবেন অপার্থিব এক সুন্দর বাজারের। সেটা হল আটঘর এর ভাসমান পেয়ারা বাজার। বাংলাদেশের উৎপাদিত মোট পেয়ারার প্রায় ৮০ ভাগই উৎপাদিত হয় ঝালকাঠির বিভিন্ন গ্রামে। আটঘর, কুরিয়ানা, ডুমুরিয়া, বেতরা, ডালুহার, সদর ইত্যাদি এলাকার প্রায় ২৪,০০০ একর জমতে পেয়রার চাষ হয়।আর এ পেয়ারা বেচা কেনার জন্য স্বরুপকাঠির আটঘরে জমে ওঠে বাংলাদেশের সবচে বড় ভাসমান বাজার। প্রতি মৌসুমে এ বাজারে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। প্রতিদিন সকাল থৈকে দুপুর পর্যন্ত চলে কেনা বেচা। অনেক দুর দুরান্ত থেকে পেয়রা চাষীরা তাদের ক্ষেতের পেয়ারা নিয়ে আসেন এ বাজারে। আর ক্রেতারাও আসেন অনেক দুর থেকে। সাধারনত নৌকায় খাকা পুরো পেয়রাই এক লটে কেনা বেচা হয়। ভরা মৌসুমে এ নৌকা পেয়ারা মা্রত ৩০০ টাকায়ও কিন্তে পারবেন। 
তো যদি স্রেফ ২ রাত ১ দিন সময় পান হাতে, দেখে আসুন দক্ষিন বাংলার অপার সে সৌন্দর্য, অনুভব করে আসুন বাংলার রুপ। 
কি বারে কি বাজার :
- বানারীপাড়ার চালের বাজার : শনিবার এবং মঙ্গলবার
- উজিরপুরের হারতার সবজি বাজার : রবি এবং বুধবার
- নাজিরপুর এবৈঠাকাঠি সবজি বাজার : শনি এবং মঙ্গলবার
- স্বরুপকাঠির আটঘর এর পেয়ারা বাজার : প্রতিদিন (জুলাই থেকে অক্টোবর)
বাজার দেখতে হলে উপরের এ দিন মিলিয়ে যাোয়াই ভালো। সবগুলো বাজারই খুব সকালে বসে এবং দুুপরের মদ্যে শেষ হয়ে যায় তাই সকালে যাওয়াই উত্তম। আর শুধু ক্যানেল দেখতে গেলে যে কোন দিনই যাোয়া যায়। 
কি করে যাবেন: ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টায় পিরোজপুরের বানারীপাড়ায় ২-৩ টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। এতে উঠে পরদিন সকালে বানারীপাড়া নেমে যাবেন। ভাড়া নেবে ডেক ১৮০ টাকা, কেবিন : ১০০০ টাকা (সিংগেল) আর ডাবল ১৮০০ টাকা। 
এছাড়া ঢাকার গাবতলি থেকে স্বরুপকাঠির উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। এতে উঠে বানারীপাড়া নেমে যাবেন। ভাড়া নেবে ৫০০ টাকা। 
বরিশাল হয়েও যেতে পারেন। লঞ্চ এ করে বরিশাল গিয়ে বাসে বা অটোতে করে বানারীপাড়া। 
কি করে ঘুরবেন : বানারীপাড়া পৌছাবেন সকাল ৬ টার মধ্য। এরপর যে কেন একটি রেষ্টুরেন্ট এ নাস্তা করে আবার নদী তীরে চলে আসুন। একটি বড় নৌকা ভাড়া করুন। বলবেন আপনি ৬-৭ ঘন্টা ঘুরবেন এভাবে : বানারীপাড়া, বৈঠাকাঠী, আটঘর-কুড়িয়ানা, মাহমুদকাঠি। ১০-১৫ জন বসার মত একটি ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া নেবে ১৫০০ টাকার মত। দুপুরে কুড়িয়ানার বিক্যাতদ বৌদির রেষ্টুরেন্ট (সকাল সন্ধ্যা) এ খেয়ে নিতে পারেন। তবে আগে অর্ডার করলে ভালো খাবার রান্না করে রাখবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ বাজারটির ছোট বৌদির রেষ্টুরেন্ট এ কয়েকশ বিদেশী খাবার খেয়েছেন। বৌদির রেষ্টুরেন্ট এর ফোন নম্বর : ০১৯২৩-৭৪৪৯৩৭ (সন্ধ্যা রানী)
ফেরার সময় বানারীপাড়া থেকে বাসে করে চলে আসুন গুঠিয়া। গুঠিয়ার মিখ্যাত বায়তুল আমান মসজিদ দেখে অটো নিয়ে চলে যান দুর্গাসাগর। এরপর বাসে বরিশাল গিয়ে রাত ৮.৩০ এর লঞ্চ এ উঠে বসুন ঢাকার উদ্দেশ্যে।

আলিঙ্গন

তোমার স্পর্শের আশায় বাঁচি- মনের ক্যানভাসে আঁকি তোমারই ছবি।  দূরের ঐ নীল আকাশে- দূরের তারার মিটিমিটি আলোর আভায়,  তোমার ছোঁয়ার ছন্দে তালে ভালো...