শুক্রবার
২৯/জুলাই/২০১৮
চৌধুরী'স মেলা।
সবাই আবার ভেবে বইসো না যে আমার সাইডের কারন আমিও চৌধুরী বংশগত😜 । এ মিলন মেলা আমার শশুড়বাড়ীর।
আমার খুব মানুষ নিয়ে হৈচৈ পছন্দ। পিকনিক, মিলনমেলা, হলুদসণ্ধ্যা- এই সব আয়োজন তাই আমাকে টানে।
আগেও লাফাইতাম এখনও লাফাই। এখন বললাম কারন এখন আমি বিবাহিত নারী😘।
আমার মামা শশুড়ের দিকে আমিই বড়। আর চাচা শশুড়ের দিকে একরকম ছোটই বলা চলে, কারণ আমার একটা ছোট দেবর আছে যে কিনা অনেক ছোট আমার বরের থেকে, তাই অনেক বছর ছোট হওয়ার আদর খাব❤️,
একটা দিনের কাটানো সময় যে এমন হবে তা বুঝিনি।
দিনটির রেশ এখনও যেন বয়ে বেড়াচ্ছি, ফুলের সুভাষের মত। It's feel good. আসলে স্মৃতির ভান্ডার বাড়ানোর জন্য কোটি টাকা লাগে না। হঠাৎ করেই প্লান, হঠাৎ করেই শুরু । আমার আম্মু সবসময়ই বলতো," মিতু তো নাচুনে বুড়ী, ওর শুধু ঢোলের বারি হলেই হলো" । ওমা আমারে যে ঢোলের মাদলে নাচানোর মানুষ এইখানেই পাব তা তো বুঝিনি😍 ।
এইনা হইলো partner. এই G2G-তে যারা যারা উপস্হিত ছিল সবার অবদান অনিবার্য । সবাইকে বলি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে মাফন করে দিও।
কাল যখন সবাই মিলে আমাকে ডাকছিল আর আমি ছুটোছুটি করছিলাম তখন আমার আসলেই বউ বউ লাগছিল। ভাবীরা আমাকে আদর দিয়ে দিয়ে মাথায় রেখ না মাঝে মাঝে এইরকম ছুটোছুটিতে রাখবা।।
সবাই মিলে যখন রান্না চড়ানো হচ্ছিল তখন বাবা বলছিল তোদের এখনই এই অবস্হা হচ্ছে, আমার মা প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনের রান্না চড়াতেন।
ক্ষণিকের জন্য সবাই চলে গিয়েছিলাম দাদুর সেই রান্নাঘরে। আমার চোখে ভেসে উঠল বাবাদের সেই বাড়ি(যদিও আমার এখনও যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে নি)-সব জ্যাঠুরা- চাচীম্মারা -সব ভাইবোন- সেই হৈ হুল্লুড়। ইন্শাল্লাহ আমরাও করব। দূরে থাকি তো কী হয়েছে। 😍
প্লানটা কিন্তু হুট করেই করা । facebook -এর কিছু ছবির comments -থেকে এর উৎপত্তি। আমি এক comments -এ লিখি চল ভাবীরা চড়ু্ইভাতি করি, যেই বলা সেই কাজ। ভাবীরা বলল চল করি, এই উপলক্ষে চড়ুইভাতি গ্রুপ ও খোলা হইল। সেইখানে চললো আমাদের সেই প্লান। বিকালের নাস্তায় কী হবে, খাবার কী হবে। ঠিক হল সব, বিকালের জন্য একেকজন একেক item- আনবে। মা আমাদের আলুর চপ বানায় দিল। program- দুপুর না রাত তা নিয়েও ভাল চিন্তিত ছিলাম সবাই because of- আবহাওয়া। অবশেষে ঠিক হল দুপুরে। আর যায় কই, আমার তো মনে হচ্ছিল কবে শুক্রবার হবে। বাজার হল, মা আর আমি গেলাম বাজারে, শাহেদ ভাইয়া আমাকে বাজারের লিস্ট করতে সাহায্য করলো। all done- এরপর শুধু অপেক্ষার পালা। অবশেষে এল শুক্রবার, আমরা ভাবিরা সকাল থেকে এক জন আরেকজনকে আপডেট দিচ্ছি, কে কী করছে। সেই হুলুস্হুল কান্ড, নদী ভাবি পাটিসাপটা পিঠা বানাচ্ছে, রত্না ভাবি ছানার পুডিং, আর আমি নুডুলস। রিনা ভাবিকে- call- দিলাম বলল মিতু আমি আমার দুইটারে নিয়া দৌড়াচ্ছিরে। আমি বললাম okay- দৌড়াইতে দৌড়াইতে আসো, আমাদের বাসাটা একটু ভিতরে এখনও ব্যস্ত মুখর জন জীবনের ছাপ পড়েনি, এই কথা বলছি কারণ তখনও কোক স্প্রাইট আনিনি, কাওকে পাঠাব ভাবছি দেখি রছি ভাইয়া কোক স্প্রাইট নিয়ে হাজির।। our life saver.. রূমি ভাবিকে কল দিলাম বলল ইচ্ছা আছে কিন্তু আগে থেকেই office- এর একটা প্রোগ্রাম আছে, যদি পারি আসব এবং ভাবি কাজ শেষ করে আসছে।কী যে ভাল লাগল।
সব ভাবিরা একে একে চলে আসল, পুরা বাড়িটা কিছুক্ষণের মধ্যে পরিপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশে পরিণত হল।
২৯/জুলাই/২০১৮
চৌধুরী'স মেলা।
সবাই আবার ভেবে বইসো না যে আমার সাইডের কারন আমিও চৌধুরী বংশগত😜 । এ মিলন মেলা আমার শশুড়বাড়ীর।
![]() |
আমরা |
![]() |
শাহেদ ভাইয়া এবং নদী ভাবি |
![]() |
রাজিন ভাইয়া এবং রত্না ভাবি |
![]() |
রছি ভাইয়া এবং রিনা ভাবি |
![]() |
সে আর আমি |
প্রথমে ধন্যবাদ মা আর বাবা কে।।। আমি দেখেছি তাদের আগ্রহ আর পরিশ্রম । এরপর সব ভাইদের যারা বন্ধের দিনের সকালের আরামের ঘুম বাদ 😜 দিয়ে আমাদের পাগলামীকে সাধুবাদ জানাইছেন। আর সব ভাবীদের কথা কী বলবো, কোনো কিছুরই কমতি ছিলনা, আজ ভাবীদের জন্যই সম্ভব হইল এই মিলনমেলার। সবার আগ্রহ সমান ছিল, আমি জানি শশা(আমার ননদীনি -শশী) কী কষ্ট করে আসছে। সবাই আবার ভেবে বইসো না কষ্ট করে আসছে মানে, কই থেকে আসলো, ও Dhaka University-তে পরে, আসা যাওয়া কষ্ট দেখে ধানমন্ডির একটা হোষ্টেল থাকে।
আমার খুব মানুষ নিয়ে হৈচৈ পছন্দ। পিকনিক, মিলনমেলা, হলুদসণ্ধ্যা- এই সব আয়োজন তাই আমাকে টানে।
![]() |
টুককী |
![]() |
খিচুড়ি |
![]() |
সালাদ |
![]() |
বাবা |
![]() |
শাহেদ ভাই কাজ করে ক্লান্ত |
![]() |
রাজিন ভাইয়া গভীর মনোযোগী |
![]() |
ব্যস্ত সবাই |
![]() |
খিচুড়ি আর হাসের ডিম |
![]() |
আগুন নিভানোর প্রচেষ্টা |
![]() |
কে বলে ঢাকার আকাশ সুন্দর না |
![]() |
ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ঘুরো |
![]() |
তুমি যেখানেই উড়ে বেড়াও নাটাই তো আমার হাতে |
![]() |
ছুটে চলি দূর বহুদূর |
![]() |
মিছেই সব জল্পনা কল্পনা |
![]() |
চাঁদ আর হুহু বাতাস |
আমার মামা শশুড়ের দিকে আমিই বড়। আর চাচা শশুড়ের দিকে একরকম ছোটই বলা চলে, কারণ আমার একটা ছোট দেবর আছে যে কিনা অনেক ছোট আমার বরের থেকে, তাই অনেক বছর ছোট হওয়ার আদর খাব❤️,
একটা দিনের কাটানো সময় যে এমন হবে তা বুঝিনি।
![]() |
সব বড় হয়ে গেলরে |
![]() |
সবাই |
![]() |
আমরা ☺ |
![]() |
রোদ কেনরে |
![]() |
আমরা এমনি তেই সুন্দর |
![]() |
বিশ্বাস করো আমরা মুখে কিচ্ছু মাখিনি |
![]() |
আমরা দ্বীপে উঠেছিলাম |
![]() |
আমরা ছবি তুলি |
![]() |
আমরা গুটি কয়েক |
![]() |
আমি একজনের চাহুনিতে মুগ্ধ |
![]() |
আমি আদর খাই |
![]() |
আমরা চারজন |
এইনা হইলো partner. এই G2G-তে যারা যারা উপস্হিত ছিল সবার অবদান অনিবার্য । সবাইকে বলি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে মাফন করে দিও।
![]() |
রঙে ঢঙে মোরা |
![]() |
আর কিছু নাই বা বলিলাম |
কাল যখন সবাই মিলে আমাকে ডাকছিল আর আমি ছুটোছুটি করছিলাম তখন আমার আসলেই বউ বউ লাগছিল। ভাবীরা আমাকে আদর দিয়ে দিয়ে মাথায় রেখ না মাঝে মাঝে এইরকম ছুটোছুটিতে রাখবা।।
সবাই মিলে যখন রান্না চড়ানো হচ্ছিল তখন বাবা বলছিল তোদের এখনই এই অবস্হা হচ্ছে, আমার মা প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনের রান্না চড়াতেন।
ক্ষণিকের জন্য সবাই চলে গিয়েছিলাম দাদুর সেই রান্নাঘরে। আমার চোখে ভেসে উঠল বাবাদের সেই বাড়ি(যদিও আমার এখনও যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে নি)-সব জ্যাঠুরা- চাচীম্মারা -সব ভাইবোন- সেই হৈ হুল্লুড়। ইন্শাল্লাহ আমরাও করব। দূরে থাকি তো কী হয়েছে। 😍
প্লানটা কিন্তু হুট করেই করা । facebook -এর কিছু ছবির comments -থেকে এর উৎপত্তি। আমি এক comments -এ লিখি চল ভাবীরা চড়ু্ইভাতি করি, যেই বলা সেই কাজ। ভাবীরা বলল চল করি, এই উপলক্ষে চড়ুইভাতি গ্রুপ ও খোলা হইল। সেইখানে চললো আমাদের সেই প্লান। বিকালের নাস্তায় কী হবে, খাবার কী হবে। ঠিক হল সব, বিকালের জন্য একেকজন একেক item- আনবে। মা আমাদের আলুর চপ বানায় দিল। program- দুপুর না রাত তা নিয়েও ভাল চিন্তিত ছিলাম সবাই because of- আবহাওয়া। অবশেষে ঠিক হল দুপুরে। আর যায় কই, আমার তো মনে হচ্ছিল কবে শুক্রবার হবে। বাজার হল, মা আর আমি গেলাম বাজারে, শাহেদ ভাইয়া আমাকে বাজারের লিস্ট করতে সাহায্য করলো। all done- এরপর শুধু অপেক্ষার পালা। অবশেষে এল শুক্রবার, আমরা ভাবিরা সকাল থেকে এক জন আরেকজনকে আপডেট দিচ্ছি, কে কী করছে। সেই হুলুস্হুল কান্ড, নদী ভাবি পাটিসাপটা পিঠা বানাচ্ছে, রত্না ভাবি ছানার পুডিং, আর আমি নুডুলস। রিনা ভাবিকে- call- দিলাম বলল মিতু আমি আমার দুইটারে নিয়া দৌড়াচ্ছিরে। আমি বললাম okay- দৌড়াইতে দৌড়াইতে আসো, আমাদের বাসাটা একটু ভিতরে এখনও ব্যস্ত মুখর জন জীবনের ছাপ পড়েনি, এই কথা বলছি কারণ তখনও কোক স্প্রাইট আনিনি, কাওকে পাঠাব ভাবছি দেখি রছি ভাইয়া কোক স্প্রাইট নিয়ে হাজির।। our life saver.. রূমি ভাবিকে কল দিলাম বলল ইচ্ছা আছে কিন্তু আগে থেকেই office- এর একটা প্রোগ্রাম আছে, যদি পারি আসব এবং ভাবি কাজ শেষ করে আসছে।কী যে ভাল লাগল।
![]() |
ছোটবেলায় ফিরে যাই |
![]() |
সূর্যাস্ত |
![]() |
বুড়ো |
![]() |
আমাদের বড় ভাবি |
![]() |
আমরা |
![]() |
ভাবি রা |
![]() |
সূর্যাস্ত উপভোগ |
![]() |
বাবা যখন মধ্যমনি |
![]() |
চৌধুরীর এক-তৃতীয়াংশ |
![]() |
যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয় যাদের পাইনি সবাইকে আদর ভালবাসা , অনেক অনেক মিস করছি কাছে দূরে সবাাইকে। |
সব ভাবিরা একে একে চলে আসল, পুরা বাড়িটা কিছুক্ষণের মধ্যে পরিপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশে পরিণত হল।
আমাদের চড়ুইভাতির কিছু আনন্দ ঘন মুহূর্ত ।
Amazing story and amazing initiative! All I wish is me and Farin were there with you all! But I'm extremely happy to see all of you had fun ! Please make this a new tradition, and who knows one of these days, we might be able to join as well!
ReplyDeleteGood initiative to capture the good memories for a long time. Mitu (Raat), tumi to nostalgic meye dekhi!! Shahad bhaiya..
ReplyDelete