Wednesday, 8 May 2024

Bona,Bali,Indonesia 2017

7th February  2017
রাত ১০ টায় অবশেষে বালী এসে পৌঁছালাম ।
জীবনটা বড়ই বিচিত্র । কিন্তু যাইহোক In my life all excitements all thrills, everything I'm fall in love with it.
রাত ১ টায় এসে Bona আমাদের  গন্তব্যে এসে পৌঁছালাম। এত দেরী হওয়ার কোনই কারণ ছিল না। দেরী হলো কারণ আমরা নামার পরপরই পরলাম taxi cab এবং Grab Car- (এখনকার time-এ Grab, Uber এই apps গুলোর সাথে মোটামুটি সবাই পরিচিত, এই apps এর মাধ্যমে pick up and drop-এর জন্য booking দেয়া হয়। এবং অবশ্যই taxi cab- এর তুলনায় মোটামুটি cheap)- এর মধুর যুদ্ধে, এ এমন তেমন যুদ্ধ না, ঢাল তলোয়ার থাকলে আমি damn sure করুক্ষেএ বেজে যেত।😅😅😅😅

আমি Bona-র যেই জায়গায় আছি এত সুন্দর আর শান্তি না বসলে বোঝার উপায় নাই, আমি না বসলে এই কারণে বললাম আমার একটা fav জায়গা আছে, যেখানে বসে আমি কফি নি আর সৌন্দর্য উপভোগ করি।


 সবুজ  আর সবুজ আর কী নিশ্চুপ। চরম feelings...😘😘😘😘😘

Keramas Giyanar Beach
Valcanor- ছাই এই beach- এ এসে পড়ায় পুরা beach - টার বালিই কালো আর এইটাই যেনো তার সৌন্দর্য।








Ubud Jalan Jembawan
আজ ছিল ১৭ই শুক্রবার ২০১৭। কাল শ্রীদেবীর নাগিন movie দেখে সারারাত ঘুমাইনি। সকালবেলায় উঠে যখন বাইরে গেলাম তখনও ঘুমের রেশ কাটেনি, মেজমেজ শরীর নিয়ে বাইরে গিয়ে দেখি Kentu's wife বাইরে বসা, অনেকক্ষন গল্প হলো। বলল আজ সে আমাকে তার কাজের জায়গায় নিয়ে যাবে। আমিও গেলাম,Bona থেকে Ubud ৩০ মিনিট এর পথ, পুরাই tourist place....market-এ বিচিত্র সব মানুষের আনাগোনা, কত জাতের যে মানুষ আছে। আমি ঘুরলাম আর হা করে করে গিললাম। feels gud..
যখন কথা হচ্ছিল তখন plan করছিলাম যে আজ রাতে আমি ইন্দোনেশিয়ান খাবার রান্না করব। তাই ঘুরে আসার পথে টুকটাক বাজার করে আনলাম, যা plan তাই এসে রান্না করলাম Sayur Hijao ,  tofu and another one sweets..Katu's wife also help me.আজ আমি tofu কিভাবে বানায় step by step দেখে চুলা থেকে নামিয়ে কেটে নিয়ে আসছি..🤣🤣🤣🤣🤣🤣

Gungue Angun (দূর থেকে aungun দেখার সৌভাগ্য )
পৃথিবীটা এতো সুন্দর কেমনে হয়। কত কিছুই করার আছে, কত কিছুই দেখার আছে, আমরা তা না করে, রেসে নেমে পরি। বড়োই আশ্চয লাগে, কতগুলো ইতর শ্রেণীর মানুষদের নিয়েও কেমনে তার সৌন্দর্য ধরে রাখে। দেখেই চোখ জুড়ায় যায়। মনে হয় আহ কি শান্তি। এমনই একটা জায়গায় আমি এখন , যেখানে নিজেকে বড়ই তুচ্ছ মনে হয়। অবশ্য place- টা দেখার সৌভাগ্য করে দেয় Giya(আমরা যেখানে উঠছি সেখানের caretaker- এর wife) . ওর বোন যেই place- টার take care করে, ওখানে একটা ছোটো টিলা দিছে, টিলায় উঠার পর বুঝা গেলো place - টার আসল সৌন্দর্য,অস্থির সেই place, ও খোদা, এ যেন খোদা নিজ হাত দিয়ে তা বুনেছেন , আমাদের দেশের নকশী কাঁথার মতো। এক পাশে পাহাড়ের বেষ্টনী , দূরে মেঘের সাথে মিলে সে যে কি এক লুকোচুরি খেলায় মেতেছে। এই  দেখি মাথা উঁচু করে বীর দর্পে দাঁড়িয়ে আছে ক্ষনিকেই দেখি হাওয়ায় বিলীন। সাথেই বিস্তীর্ণ ধানী জমি। ওদের লুকোচুরি খালা দেখবো নাকি সবুজের সমারোহ দেখবো , এরকম দোমনা অবস্থাতেই পাগল হয়ে গেলাম যখন আরেক পাশে তাকিয়ে অথৈই সমুদ্র। (ইহার মাঝেই আমি আবার ও অথৈই নামটির প্রেমে পড়লাম)। সে এক অপুরূপ লীলা।








ধন্যবাদ Giya ,মনে থাকবে তোমার কথা,ওর indian সবকিছুই অনেক পছন্দ  .
Nextটাইম পাওনা রইলো আমার কাছে, আমার ঋণ নিয়ে বেড়াইতে বড়ই কেমন জানি লাগে  .
কারো কাছে আমি একবার ঋণী হয়ে গেলে ছোট কিছু দিয়ে হলেও শোধ করতে মন চায় , নিজের
জন্যই তা মন চায় কারণ আমার বুকের ভিতর পাথর জমে আছে মনে হয়।
বলে ফেললাম মনের কিছু কথা। লিখাটা এমনই , শুরু হলেই অনেক কিছুই টুকুর টাকুর উঁকি দিয়ে বসে। লিখতে আমার ভালোই লাগে কিন্তু তা কেমন জানি আটকে আটকে থাকে, বারবারই মনে হয় অনেক কিছুই লিখার আছে কিন্তু লিখা যাচ্ছে না , বসতেই পারি না , কিন্তু এইখানকার পরিবেশটাই এমন , যার যা করতে ভালো লাগে তা কেমন করে জানি শুরু করায় দেয়। আমার সামনে এখন একটা মাঝারী সাইজের ভুট্টার ক্ষেত। কি যে সুন্দর ,সব গাছের মাথায় ফুল ধরে আছে ,আমরা যখন আসছি তখন গাছগুলো ছোট ছিল আর ফুল তো দূরের কথা ,


এখন তো ফুলের সাথে ফলও ধরে গেছে। সেদিন আমরা ক্ষেতও উদ্বোধন করছি , এক মাঝারী বেবি corn ছিড়ে এনে vegetable - এর সাথে ভক্ষণ করে ফেলছি। অবশ্যই এই ছিড়ে আনার কাজে আমি ছিলাম না ছিলেন বিশিষ্ট সবজি ফল চোর আমার বর যার কথা না বললেই নয় তাকে বিশিষ্ট সবজি ফল চোর বলার কারণ হইলো কিছু দিন আগে বাসার সামনে অনেক অনেক ফল এবং ফুলের গাছ উনি avocado গাছ থেকে বিশাল এক avocado পেরে নিয়ে আসছে ,সেই কি খুশি তার ,আমি ইহাতেও মুগ্ধ হই , যাক যা বলছিলাম ,দেখিলাম বিমূঢ় হইয়া এক তোড়া কুঁড়ি থেকে ফুল ফলের রূপান্তর , দেখিলাম এক সৃষ্টি আর সৃষ্টির লীলাখেলা। অপুরূপ সব সৌন্দর্য। আমি বিশিষ্ট লেখক লেখিকাদের মতো বিবরণ দিতে পারি নি কিন্তু মনের ভিতর আঁকা ছবির এক ছোট্ট বিশ্লেষনের চেষ্টা করেছি মাত্র। 

প্রকৃতি আশ্চর্য এক লীলাখেলায় মেতে উঠেছে এই রোদ্দুর তো এই সেই ঝুম বৃষ্টি , একই জায়গার কত যে variation, এই সাদা নীলাভ তুলোয় ভরা ঝকঝকে আকাশ তো ক্ষনিকেই মনখারাপ করা কালো মেঘে ঢাকা বিশাল আকাশ তার ক্ষনিকেই ঝুম বৃষ্টি, আবার হয়তো সোনালী বরণ ,টুকটুকে রক্তিম রঙ যেন নিজেকেও ভাসিয়ে  নিয়ে যায় তার রঙ্গে রূপে আভায়। আমি ও ভাসি , ভাসতে ভালোই তো লাগে। এই নিরিবিলিতে রঙগুলো যেন তার মহিমা দেখাতেই ব্যস্ত সাথে ব্যস্ত আমাকে মুগ্ধ করাতে , যেন আমি তার রাজকন্যা , ক্ষনিকের জন্য হলেও আমার মনখারাপ করানো যাবে না। আমাকে থাকতে হবে তার মুগ্ধতায় বেভুর হয়ে। আমি যেন নিজেই আমার দু'হাত বাড়িয়ে দি তার স্পর্শ , রংগুলোর অনুভূতি পাওয়ার জন্য, আমি পাইও এবং বলতে দ্বিধা নাই,হে প্রকৃতি তুমি সার্থক তোমার রঙে ঢঙে আমাকে রাঙাতে আর আমি বারবার তোমার দ্বারে দাঁড়াতে চাই এই অপরূপ খেলা দেখতে। আমি তোমার খেলায় বিস্মিত ও মুগ্ধ আর আমার এই মুগ্ধতা আরোও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় যখন আমি এক কাপ চা হাতে বসে তুলিতে আঁকা ছবিতে নীরব দর্শক হয়ে participate- করি।











বালিতে নাই এমন কোনো activites নাই মনে হয় , লাস্ট 5 years আগে যখন আসছিলাম তখন অনেক কিছু করছি like - under-water walking , cruise trip for hole day ,banana boat ,snkorlling ,camel ride কিন্তু এইবার শুধুই city tour ,watching Bali's beauty of nature.
মুগ্ধতা এবং ঘোর দুটো বড়ই বিচিত্র এবং আলাদা শব্দ , আলাদা অস্তিত্ব , মুগ্ধতা কখোনই কাটে না যখন আসে মনের গহীনে এক কোণে গভীর কোন স্মৃতি রেখে যায় , যা তুমি আজীবন নিয়ে বয়ে বেড়াতে পারবে কিন্তু ঘোর  আসবেও অতিথি পাখির মতো , যখন আসবে আয়োজন করে আসবে ,যাবেও সময়ের সাথে, সময়ও শেষ উড়াল দিবে নিশ্চুপ করে ,টের ও পাওয়া যাবে না। but চলে যে যাবে তা for sure . তাই আমি মুগদ্ধতায় বিশ্বাস করি। 
এত পাখি এই ছোট জায়গাটাতে গাছগুলোতে ফুল আসছে ছোট পাখিগুলো মনের আনন্দে উড়ে উড়ে ঘুরে বেরাচ্ছে , এই ফুলে তো ওই ফুলে , বক মাছরাঙ্গারাও পিছিয়ে নেই। 
বৃষ্টি আমার বড়ই ভালো লাগে , বৃষ্টি আসলেই আমার মন চায় ছুটে বের হয়ে যাই ,হয়ে যাই বৃষ্টিকন্যা অবশ্যই হাতে ধুয়া উড়া এক কাপ চা অথবা কফি, কথাই নাই কিন্তু এই প্রথম আমার বৃষ্টি শুধু কাপ হাতে দেখতেই ভালো লাগলো সঙ্গী ছিলো আমার one and only কারিগর made partner,who accept me who I am and what I am, whose my commande is always his Dream, he never tell me all this bullshit but i can feel because everybody knows about girls sixth sence power bla bla bla.........(My Husband)
রংতুলিটাকে বড়ই মিস করছি আর তা ছেড়ে দেওয়ার দুঃখ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। তবে জামাইজান বেঁচে গেছো  vanity luggage- এর সাথে তখন painting luggage- ও বহন করা লাগতো।




  







2 comments:

আলিঙ্গন

তোমার স্পর্শের আশায় বাঁচি- মনের ক্যানভাসে আঁকি তোমারই ছবি।  দূরের ঐ নীল আকাশে- দূরের তারার মিটিমিটি আলোর আভায়,  তোমার ছোঁয়ার ছন্দে তালে ভালো...