Tuesday, 31 March 2020

COVID-19

কাল থেকে মনে হচ্ছে আবার কিছু লিখি। আমার যে লিখা লিখি ভালো লাগে, কিন্তু এই লিখাগুলো যে খুশির লিখা না। মনের কোনে ছোট করে কোথাও একটা আতঙ্ক যা প্রতি নিয়তো তারা করে বেড়াচ্ছে। পরশু বাড়িওয়ালা একটা মেসেজ পাঠিয়েছে।
আজ বুধবার 
মধ্যেরাত ১:১৩

COVID-19 (Notice for Venice Hill residents)

সারমর্ম তো নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছেন। আমাদের venice hill condominium-এর tower -3 কেউ COVID-19- এ আকক্রান্ত।জানি না কি হবে , কেমন যাবে সামনের দিনগুলি।খুব ভয় লাগছে সাথে কষ্টও।

এই venice hill condominium-এ আমি থাকি। আমি আমার husband, আমার ভাই এন্ড জুনায়েদ আছি। venice hill condominium- টায় ১০ টা টাওয়ার, এর tower-1 -এ আমি থাকি।

জানি সামনে অনেক বড় কোনো বিপদ অপেক্ষা করছে, শুধু মনে মনে চাই শক্ত হাতে যেন তা মোকাবিলা করতে পারি। আর আল্লাহ কে বলি আল্লাহ যেন সবাইকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে। 

তাই হঠাৎ করে মনে হইলো ডাইরি তাতে হাত বুলাই না অনেক দিন , সাথে কলম তাকেই ও সঙ্গী বানাই না অনেক দিন হলো। পরে ভাবলাম ডিজিটালের এই যুগে কলম ডেইরি ডিজিটালে নয় কেন। 

বেশ কতদিন ধরে news আসতেছে USA কন্ট্রোল করতে পারছে না , ওরা ধরে নিছে মিনিমাম ২,০০,০০০ মানুষের মৃত্যু হবে। এ যেন মৃত্যুর মিছিল। আমরা যুদ্ধ দেখিনি , দেখিনি দুর্বিক্ষ , দেখিনি মহামারী। আজ দিনশেষে বুঝি কতটা না রাজকপালী ছিলাম আমরা। এখন facebook-এ মানুষ জন কে অনেক কিছু করে নিজে কে জয় করার প্রবণতা দেখছি, দেখছি বসে বসে ভয় কাটানোর কত বিচিত্র উপায় , নিজেও অনেক সময় ভাবী নিজেও কি কিছু করবো যাতে আমি ও একটু entertain হই সাথে মানুষগুলোও।

আজ মেজোমামার সাথে কথা হলো, বৌমার সাথেও কথা বললাম সবার মাঝেই একটা আতঙ্ক। বৌমা অনেক নরম একজন মানুষ, কথা বলে খারাপই লাগলো।আজ আবারও বুঝলাম মৃত্যুর আতঙ্ক ছোঁয়াচে।সুদূর আমেরিকা থেকেও ছুতে দুই সেকেন্ড ও লাগলো না। খালামনির সাথেও কথা হলো, সবাই একটা কালো ছায়ায় আবৃত। সকালে যখন বাবা মা -র সাথেও কথা হলো তারাও ভেঙে পড়েছে। শুধু দেখেলাম আমার ভাঙা চূড়া আম্মু কে, শক্ত হয়ে আমাকে সাহস দিতে।  

আলিঙ্গন

তোমার স্পর্শের আশায় বাঁচি- মনের ক্যানভাসে আঁকি তোমারই ছবি।  দূরের ঐ নীল আকাশে- দূরের তারার মিটিমিটি আলোর আভায়,  তোমার ছোঁয়ার ছন্দে তালে ভালো...