Wednesday, 1 April 2020

QUARANTINE, COVID-19, April1, 2020

বুধবার, এপ্রিল ১, ২০২০
দুপুর ১২ টা,
আমার জানলা দিয়ে আমি এখন ও পাখির কিচিরমিচির শুনতে পাইতেছি। শাওন ওর রুমে কাজ করতেছে। আমি একটু আগে এ ঘুম থেকে উঠে ল্যাপটপটা হাতে নিয়ে বসলাম, লিখতে ইচ্ছে করলো কিন্তু জানি না কি দিয়ে শুরু করবো বা লিখবো।

পাখির কিচিরমিচিরের সাথে সুন্দর একটা সকাল 
আমার অনেক ইচ্ছা ছিল আমার বেডের পাশের জানলায় অনেক পাখির কিচির মিচির শব্দ থাকবে। ঘুম ভাঙার পরপরই আমি সেই শব্দ অনেকক্ষণ ধরে শুনবো আর আড়মোড়া দিয়ে উঠবো। সবই ঠিক মতোই আছে। নেই শুধু সেই অনুভূতি গুলো। চোখ খুলে ফোনটা হাতে নিলাম অভ্যাসবশতঃ, হয়তো কোনো ভালো খবরের আশায়। কিন্তু মানুষের সেই মিথ্যা আশ্বাস সাথে নিজেকে আর নয়তো অন্যকে chearup করার প্রচেষ্টা। একদিকে ভালো লাগছে এই ভেবে যে মনে হচ্ছে পুরো পৃথিবী একসাথে হাতে হাত রেখে চলছে আর অভয় দিচ্ছে ভয় পেয়ো না। এই একাত্মতার অনেক প্রয়োজন ছিলো।নেই কোনো ভিসার ঝামেলা পুরা পৃথিবী lockdown- কিন্তু সবাই এক। 
আবার তার মাঝে কত কিছু নিয়ে বাকবিতর্ক ও হচ্ছে, উদহারণ স্বরূপ -

 বাংলাদেশের এক ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা,
যেখান সরকার বেশি মানুষ এক হতে মানা করছে 
সব দোষ কি ব্যাংকারদের... ??
আর কত ট্রোল সহ্য করবেন...আসুন আমরা ব্যাংকার রা একটা ছোট্ট প্রতিবাদ করি
নিজেদের সম্মান রক্ষা করতে শিখি..... 
করোনা ভাইরাস যে মহামারী আকার ধারণ করেছে তা আসলেই দুঃখজনক।আমরা সবাই বাসায় অবস্থান করছি। কিন্তু একদল আছেন যারা একে অন্যের পিছনে লেগে আছেন
তাদের নিয়ে কিছু কথা......
তারা ব্যাংকারদের কথা তো বলছেনই না, উল্টো এক পিপিই পরা নিয়ে আমরা ট্রোল হয়ে গেছিযেটা ডাক্তারদের পিপিই না বরং সেই আদলে করা নিজেদের সুরক্ষার জন্য একধরনের সুতির ওয়াশেবল পিপিই !
সব দোষ কেনো জানি আপনারা ব্যাংকারদের উপরেই দিচ্ছেন !!!
আচ্ছা এই পিপিই টা আমাদের কে দিয়েছে??
সরকার দিয়েছে নাকি অন্য কেউ ?? 
ব্যাংকাররা নিজেদের টাকা দিয়ে এই পিপিই কিনেছেন।
আমি জানিনা যারা ব্যাংকারদের নিয়ে লিখছেন বা বলছেন তারা যদি কোন দিন Bank এসেই থাকেন, তারা কি জানেনা ব্যাংক কারা আসে? যদি না জেনে থাকেন তাহলে শুনুন Bank কারা টাকা নিতে আসে… 
< <সমাজের সর্বনিম্ন পর্য়ায় হতে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত>>
আর বিদেশ ফেরত লোকের এবং তাদের আত্বীয়স্বজন দের মুল কারখানা হলো ব্যাংক ! তাহলে আমরা কি দোষ করলাম একটা পিপিই পরে যেটা ডাক্তার দের পিপিই না
আমাদের কি পরিবার নেই?
না আমরা এন্টি করোনা টিকা নিয়েছি?
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃঃ
মাথায় রাখবেন অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত কেউ হাসপাতাল যায় না, কিন্তু Bank সবাই আসে(১৪দিন কোয়ারেন্টাইন এর মধ্যে)
আর এই ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম এবং সব থেকে ঝুকিপূর্ণ জায়গার একটা হলো ব্যাংক  
তাই সবাই একে অন্যের দোষ না ধরে এই কঠিন সময় মোকাবেলা করি আর সবাই আল্লাহ্ এর কাছে এই রোগমুক্তির কামনা করি
(সংগৃহীত)

আবার আরেক রিক্শা ভাই তার ত্রাণ এর খাবার ফেরত দিয়ে দৃষ্টান্তস্বরূপ উদাহরণ রাখলো , যা আসলেই appricitable.


রিক্শা ভাইয়ের দৃষ্টান্ত স্বরূপ উদহারণ  
'রিক্সাওয়ালা জানালেন আজ পাঁচ কেজি চাল, দুকেজি ডালের একটা ত্রাণ প্যাক পেয়েছিলেন, তিনি তা নেন নি।
কেনো নেন নি?
শোনেন ঘরে আমার এখনো দশ কেজি আছে, বাপ-বেটির আরো দশ দিন যাবে। আমি যদি নেই তো যার ঘরে নাই তার কী হবে!
এমন বিবেকবান রিক্সাওয়ালা!
হ্যাঁ!
তার কারণ তিনি স্ব-শিক্ষিত! তার একমাত্র কন্যা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছে। মেয়ের বয়স যখন / তখন তার স্ত্রী মারা যায়। মেয়েকে বুকে আগলে রেখে মায়ের স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন। মেয়ের অমর্যাদা হবে ভেবে উত্তরা থেকে এসে তেজগাঁও-মগবাজার এলাকায় রিক্সা চালান। এখনো নিজে রান্না করে মেয়েকে খাইয়ে কাজের জন্য চলে আসেন।
এমন বাবার প্রতি শ্রদ্ধা তো রাখাই যায়!
কাজ ছোট হলেই মানুষ ছোট হয় না!!
(The Independent পত্রিকার সাংবাদিক এমদাদুল হক বাদল-এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া)

কেউ কেউ আবার গান্দা ফুলের বিশ্লেষণে মশগুল কারণ এখন COVID-19-এর পাশাপাশি লালগান্দা ফুলের সেই ছড়াছড়ি -

অবশেষে research-করে পোলাপাইন পাইছে কোনো গেন্দা ফুল লাল দেখছে বাদশা 

কেউ কেউ আবার DONALD TRUMP- কেউ ছাড়ে নি,তাকে নিয়ে মজার মজার জোকস- এ ব্যস্ত। আমি ও বাদ যাবো কেন , পড়লাম আর জোকস- এর তাৎপর্য বুঝে হাসার চেষ্টা করলাম।জোকস- টা ছিল এমন,

বেচারা DONALD TRUMP,
মাঝে মাঝে আমি ভাবি, আসলেই কি উনি এত বিবেক বুদ্ধিহীন  যদি এমন বিবেক বুদ্ধিহীন  হয়ে USA -এর Prime Minister হওয়া যায় , আর বিশাল পন্ডিত হয়ে যদি শুধু জোকস মাস্টার হওয়া লাগে, তাতে তো জোকস মাস্টারের চাইতে প্রাইম মিনিস্টার-ই সই। 

Donald Trump met with the Queen of England, and he asked her, "Your Majesty, how do you run such an efficient government? Are there any tips you can give me?"
"Well," replied the Queen, "the most important thing is to surround yourself with intelligent people."
Trump frowned, and then asked, "But how do I know the people around you are really intelligent?"
The Queen took a sip of tea. "Oh, that's easy; you just ask them to answer an intelligent riddle."
The Queen pushed a button on her intercom. "Please send Boris Johnson in here, would you?"
The Prime Minster walked into the room and said, "Yes, Your Majesty?"
The Queen smiled and said, "Answer me this, if you would, Boris. Your mother and father have a child. It is not your brother and it is not your sister. Who is it?"
Without pausing for a moment, he answered, "That would be me."
"Yes! Very good," said the Queen.
Trump went back home to ask Mike Pence the same question. “ Mike, answer this for me. Your mother and your father have a child. It's not your brother and it's not your sister. Who is it?"
"I'm not sure," said Pence. "Let me get back to you on that one." He went to his advisers and asked everyone, but none could give him an answer.
Finally, Pence ran in to his friend Jack Murphy in a restaurant the next night. Pence asked, "Jack, can you answer this for me? Your mother and father have a child and it's not your brother or your sister. Who is it?"
Jack Murphy answered right back, "That's easy, it's me!"
Pence smiled, and said, "Thanks!"
Pence then went back to speak with Trump. "Say, I did some research and I have the answer to that riddle: It's my friend Jack Murphy!"
Trump got up, stomped over to Pence, and angrily yelled, "No, you idiot! It's Boris Johnson!" -

এই হইলো সেই বিখ্যাত জোকস যা শুনে মানুষ জন হেসে কুটিকুটি হয় যাইতেছে। আমার কাছে আর চাইতে গোপাল ভার ই ভালো লাগে। জোকস পড়ে মনে মনে ভাবলাম দিয়ে দিবো নাকি কয়েকটা গোপাল ভার আর জোকস ডাউনলোড করে। 

এইসব দেখতে দেখতে যখন পেজ স্ক্রল করছি তখন চোখে পড়লো এপ্রিল ফুলের ইতিহাস - 


যদিও এই famous টিউলিপ গার্ডেন দেখতে যাওয়ার কথা ছিলো আমাদের এইবার 
মারিয়ার বয়স তখন ১০। তাদের বাসায় হামলা হলে মা তাকে বাথরুমে লুকিয়ে রাখে। হামলাকারীরা বাসায়
ঢুকেই মারিয়ার মাসহ বাকি দুই ভাইকে হত্যা করে। বাসা থেকে বের হতে গিয়ে কি যেন মনে করে একজন বাথরুমের ছিটকানি খুললে মারিয়াকে পেয়ে যায়.....
দশজনের দলটি তাকে পালাক্রমে ধর্ষণের সিদ্ধান্ত
নেয়। দলটির দুর্ভাগ্য(?) যে, তিনজনের ধর্ষণ শেষেই মারিয়া পরপারে চলে যায়!
সেদিন অনেক মারিয়ার জীবনেই এই ঘটনা ঘটেছিল...
আরবীয় বংশোদ্ভূত মারিয়া বাবা সিদ্দিক তখন যুদ্ধ
ক্ষেত্রে ছিল। স্পেনের মুসলিম বাহিনী পরাজিত
হলে সে ছুটে বাসার দিকে আসতে থাকে। তখন
প্রতিটা মুসলিম জনবসতিতে আগুন জ্বলছে। খৃষ্টান
বাহিনী ঘোষনা দিয়েছে, যারা মসজিদে আশ্রয়
নিবে তাদের হত্যা করা হবে না। বাকিদের যেখানে
পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করা হবে। যত দ্রুত
সম্ভব সিদ্দিক তার পরিবার নিয়ে কাছাকাছি কোন
মসজিদে আশ্রয় নিতে চায়..
বাসার সামনে এসেই দেখতে পায় দাউ দাউ করে
আগুন জ্বলছে। নির্বাক হয়ে যায় সে। আগুনে পোড়া
ধ্বংসস্তুপের মাঝে সে কাউকে আবিস্কার করতে
পারে না। তারপর ছুটে যেতে থাকে পাশের মসজিদের দিকে। ক্ষীন আশা নিয়ে সে মসজিদে যেতে থাকে, যদি পরিবার সেখানে গিয়ে থাকে....!
মসজিদ নারী, পুরুষ আর শিশু দিয়ে ভরে গেছে। পা
রাখার জায়গা নেই কোথাও। তার মারিয়ার মত অনেক মেয়েকেই দেখতে পায়, কিন্তু মারিয়াকে খুঁজে পায় না। পাগলের মত একপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে থাকে কিন্তু তার পরিবারের কাউকেই সে খুঁজে পায় না...
এর মাঝেই বাহিরে হট্টগোল হতে থাকে। শিশুরা ভয়ে নতুনভাবে আবার কান্না শুরু করে দেয়। দেখা যায় খৃষ্টান বাহিনী মসজিদের সামনে এসে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন মুসলিমকে মেরে ফেলে। সবাইকে মসজিদের দরজা জানালা বন্ধ করে দিতে বলে। জীবন বাঁচাতে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া মুসলমানরা সব দরজা জানালা ভিতর থেকে আটকে দেয়। আর খৃষ্টান বাহিনী বাহির থেকে দরজা আটকে দিতে থাকে..
মুসলিমরা প্রথমে ভেবেছিল কেউ যেন বাহিরে যেতে না পারে সেটা নিশ্চিত হতে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো! কিন্তু একটু পরেই তারা নিজেদের বোকামী বুঝতে পারে। বেঈমান জাতি খৃষ্টানদের বিশ্বাস করাই ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় বোকামী...
ততক্ষনে মসজিদের চারিদিকে দাউ দাউ করে আগুন
জ্বলা শুরু হয়ে গেছে। খ্রিষ্টান বাহিনী দরজা জানালা
আটকে দিয়ে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া অসহায় নারী পুরুষ শিশুদের পুড়িয়ে মারতে বাহির থেকে আগুন লাগিয়ে দেয়। মসজিদের ভিতর চলতে থাকে বাতাস ভারী করা আত্মচিৎকার....
আর বাইরে চলে খ্রিষ্টানদের উল্লাস করা অট্টহাসি। তারা মুসলিমদের বোকা বোকা (Fool Fool) বলে হাসতে হাসতে আনন্দ করতে থাকে....
এই দিনটাই ছিল এপ্রিল মাসের তারিখ।
স্পেনের বুকে মানবজাতির ইতিহাসে ঘটে যায় এক জঘন্য ঘটনা। এটাই পৃথিবীর ইতিহাসে এপ্রিলফুল (April Fool) নামে স্থান করে নেয়। এটা খৃষ্টানদের আনন্দ মজা করার দিন।
আজকাল কিছু মুসলিম নামধারী মূর্খ এইদিনে
খ্রিস্টানদের সাথে মজা করতে দেখা যায়! তারা ভাবে, এটা একটি আনন্দ তামাশা করার দিন। কিন্তু কিভাবে সেই তামাশা আনন্দ আসলো সেটা জানতে চায়না...
এই দিনটি খ্রিস্টানদের জন্য আনন্দের হলেও,,, মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত কস্টের, হৃদয় বিদারক!!!
তাই আমরা সেই নির্যাতিত স্পেনের মুসলিম ভাই বোনদের জন্য রব্বে কারীমের নিকট কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করবো আর আনন্দ উৎসব করা না করার ব্যপারটা সম্মানিত পাঠকদের দ্বায়িত্বেই রইলো।
আল্লাহ তা'আলা সেইসব ভাইবোনদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক।আমীন।
(সংগৃহীত সম্পাদিত)

এইটা দেখা শেষ হইতে না হইতে পেয়ে গেলাম COVID-19 - virus- আর নতুন টোটকা, যা না দিলে ই নয় -

এই হলো তার উক্তি, উনি এলকোহল খান দেখে করোনা ভাইরাস তাকে  স্পর্শ ও করবে না। 

এসব দেখতে দেখতে যখন ইন্ডিয়ার নিউজ পেইজে এলো দেখি ইন্ডিয়া এক দল সবার উদ্ধে উঠে গেসে। তারা আবিষ্কার করেছেন গোমূত্র পান করলে নাকি করোনা ভাইরাস সেরে যায়। অন্যরাও বসে নাই। তা নিয়ে ও চলছে বিশাল হট্টগোল। 

এই যে দিলু দার কাছে পাওনা টাকা চাইতে পাঠায় দেওয়া হলো  পাওনাদারকে।

ফেইসবুক টাকে এখন আমার মহল্লা মহল্লা মনে হয়.মনে হয় নিজের পাড়াতেই বিচরণ করে বাড়াইতেছি। মনে হয় এই গলি থেকে  ওই গলিতে ঘুড়ে বেড়াইতেছি, এখনই পাশের বাড়ির কোনো আন্টি মোটা গলায় ডেকে উঠবে আর বলবে তুমি কি কারো এই রাস্তায়, তোমার না কোচিং ক্লাসে থাকার কথা ছিলো, হায় হায় তুমি ক্লাস বাদ দিয়ে পাড়ায় ঘুরে বেড়াইতেছ, দাঁড়াও, দাঁড়াও, খবরদার এক পাও নড়বানা, আমি তোমার মারে ফোন দিতাছি আর বলি আপনার মেয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কী কী করে বাড়াইতেছে। এই বাসার aunty এইটা বলছে তো ওই aunty তার চাইতে দ্বিগুন বলছে।  এই আপু জামাইর ৫ টা কিছু দিলে অন্য বাড়ির আপু পিছেয়ে নেই, উনি ২০টা দিবে। সাথে তো মার্কেট গুলো ফ্রি আর ফ্রি। এই আপু এইটা সেল করে তো ওই আপু তার চাইতে কম দামে একই জিনিস বিক্রি করতেছে। sometimes i didnot miss my চিরোচেনা বনশ্রী।

লিখতে লিখতে খেয়াল করলাম হঠাৎ নেট টা নাই তখন ভাবলাম যাই এই ফাঁকে দুপুরের রান্না টা শেষ করে আসি, ওমা গিয়ে দেখি আমার ভাই অনেক কিছু রান্না করে ফেলেছে।

ছোট্ট নাবিল আজ আমায় ছুটি দিয়েছে,
আর তাইতো আমি বসে এই লিখাটা শেষ করতে পেরেছি  
সব ভর্তা আইটেম করেছে- আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, টমেটো ভর্তা, করলা ভর্তা (এইটা আমি বানিয়েছি ) আর ডাল। সেই দিনের নাবিল এখন রান্না করে খাওয়ায়।

নেট যাওয়ার ফাঁকে খেয়ে এসেও দেখি নেট এখনও নাই। মালয়েশিয়ায় এই প্রথম কাজ করতে গিয়ে নেট পেলাম না এতক্ষন। নেট নাই অভ্যাসবশতঃ ফোনে হাত চলে গেলো, পরক্ষনেই হাসি পেলো সাথে দুঃখও, মনকে সান্ত্বনা দিলাম মিতু দেশে না তুই, এইটা বিদেশ, আবার হু হু করে কেঁদে উঠলো মনটা ,missing my মহল্লা again. আজ এলাকায় থাকলে ২০ বার ফোন দিতাম, 'ভাই লাইন নাই ',
লাইন নাই কোনো আর কাজ না থাকলে ও কাজের বিশাল ইম্পোর্টেন্স বুঝাইতাম। 'এখন, এখন কারে, কোন মামা চাচা, ভাইরে ফোন দিবা , লাও ঠ্যালা ',-পরিশেষে missing এলাকার net bhai brothers (যারা হাজারটা ফোনেও বিরক্ত হয় না বরং বলে' আফা আইতাছি, আর নয়তো বলবে আফা ট্রাকে তার ছিড়া দিয়া চইলা গেসে') - আহ কি সেই দিনগুলি ?

আজ ২০দিন পর বাসা থেকে বের হয়ে খাবার আনতে গিয়ে ছিলাম বাসার পিছেই, এ এক অন্য নগরী। এই কি সেই চিরচেনা শহর। কেমন জানি ভূতুড়ে ভূতুড়ে লাগলো। নিরিবিলি নিস্তব্ধ, নিজের বাড়ির গেট দিয়ে ঢুকতেই দারোয়ানরা থার্মোমিটার দিয়ে বডি টেম্পারেচার চেক করলো। মুভির সিন ও ফাইল হইয়া যাবে বাস্তবের এই সবের সাথে।  









আলিঙ্গন

তোমার স্পর্শের আশায় বাঁচি- মনের ক্যানভাসে আঁকি তোমারই ছবি।  দূরের ঐ নীল আকাশে- দূরের তারার মিটিমিটি আলোর আভায়,  তোমার ছোঁয়ার ছন্দে তালে ভালো...